* বড় বোন বিবাহিতা (গৃহিণী)। স্বামী ডেকোরেশন ও মুদি ব্যবসায়ী। * ছোট দুই বোন। এক বোন বিবাহিতা (গৃহিণী)। স্বামী পল্লি বিদ্যুৎ এর চাকুরীজীবি। * একদম ছোট বোন অবিবাহিতা। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২০২৫ এ দাখিল পরিক্ষার্থী।

আপন চাচা মামা নেই।

আলহামদুলিল্লাহ, বাবা এবং আমার ইনকামে সুখে-শান্তিতেই জীবন-যাপন করছি। বাবা এবং আমি দুজনেই মসজিদের ইমাম ও খতীব। আমরা নিজস্ব (টিনসেট)বাড়িতে বসবাস করি। জমির পরিমাণ(৬০ শতাংশ) ২ বিঘা।

আলহামদুলিল্লাহ ভালো। বাড়িতে টিনের প্রাচীর (বেড়া) দেওয়া আছে। পর্দা করতে কোনো সমস্যা হয় না। আলহামদুলিল্লাহ, পরিবারের সবাই সালাত আদায় করে।তবে কাজের চাপে মায়ের সালাত মাঝে মধ্যে মিছ হয়। পরিবারের সবাই মাহরাম নন-মাহরাম মানার চেষ্টা করেন।তবে মাঝে মধ্যে পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়।

আমার শখ- বই পড়া,বন্ধুদের সাথে হালাল বিনোদন করা,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ট্যুর করা। আমার স্বপ্ন-দ্বীনের খেদমত করা,ইসলামিক স্কলার হওয়া এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করা। আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করে জান্নাতে যাওয়া হলো মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। পছন্দ-অপছন্দ:সকল হালাল জিনিস আমার পছন্দ এবং সকল হারাম জিনিস আমার অপছন্দ। রুচিবোধ: সকল হালাল কাজকর্ম করতে বা হালাল খাবার খেতে রুচিবোধ করি।

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে জামালপুর সদরের ৮ নং ইটাইল ইউনিয়নে ইমামতি নামক সম্মানিত পেশায় নিযুক্ত আছি। এটি সম্পূর্ণ হালাল একটি পেশা। বি:দ্র:লেখাপড়া চলমান থাকার কারণে পরিপূর্ণভাবে নিজেকে অন্য পেশায় নিযুক্ত করতে পারছি না। লেখাপড়া শেষ হলে আশা করি ভালো বেতনের হালাল পেশায় নিযুক্ত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

ইমানকে পূর্ণ করার জন্য। একজন সামর্থবান পুরুষ অবিবাহিত থাকলে যেকোনো সময় হারাম কাজে জড়িত হতে পারে।কেননা, রাসূল সাঃ বলেছেন- "তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সক্ষমতা রাখে তারা যেন বিয়ে করে নেয়"। তাই নিজেকে ফিতনা থেকে মুক্ত রাখা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিয়ে করার মূল উদ্দেশ্য। তাছাড়া, লেখাপড়া ও ইবাদতে মনোযোগী হওয়া, হালাল উপায়ে বংশ বিস্তার করা,শারিরীক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করা ইত্যাদি।

অবশ্যই শরীয়তের জ্ঞান সহকারে দ্বীনদার হতে হবে।বিশেষ কারণ ব্যতীত সালাত পরিত্যাগ করা যাবে না।শুদ্ধভাবে কোরআন পড়া জানতে হবে।মাহরাম ও গাইরে মাহরাম মেনে নিজেকে পর্দায় রাখতে হবে। স্বামী ব্যতীত অন্য কারো সামনে নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবে না। স্বামীর বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কোথাও যাওয়া যাবে না। কোরআন ও হাদীসে যেভাবে স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে বলা হয়েছে সেভাবে স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে হবে। স্বামীর সাধ্যের বাহিরে কোনো কিছু আশা করা যাবে না।